না বলা গল্প
সেই ছোট্ট বেলার কথা, যখন থেকে হাটতে শিখেছি ঠিক তখন থেকেই রক মিউজিকটা শুনে আসছি।
আমার ঘরে আমি ছিলাম সবচেয়ে ছোটো আমার ঘরের সব দাদা দিদিরাই রক ব্যান্ড শুনতো রক ব্যান্ড গুলোকে ভালোবাসতো।
বেশিরভাগ শুনতো নচিকেতা, অঞ্জন দত্ত আর ব্যান্ডের মধ্যে ফসি্লস। তাই ছোটো থেকেই মনে বাংলা গান আর বাংলা রক ব্যান্ড গুলো জায়গা করে নেয়।। রক্তে রক্তে মিশে যায় বাংলা রক মিউজিক।
তারপর আস্তে আস্তে নিজের বাংলা রক ব্যান্ড বানানোর স্বপ্ন জেগে ওঠে, তখন আমার বয়স মাত্র ১২ , ফসি্লস ব্যান্ড কে ভালোবাসতাম রুপম ইসলাম কে গুরু মানতাম তাই ফসি্লসের মতো কোনো নাম খুজতে থাকলাম, অনেক ঘাটাঘাটির পর একটি নাম খুজে পাই নামটি ছিল "পেব্বলস "।
নামটা খুশি হয়েছিলাম ওইদিন আমি, নামটা অনেক বার অনেক ডিজাইন করে লিখেছিলাম ওইদিন, লিখার পর নামটা নিয়ে আমি প্রথমে আমার একজন দাদা কে দেখাই আর বলি এই দেখ দাদা আমার ব্যান্ডের নাম, সে তখন আমার পাগলামো দেখে বলে তোর আবার ব্যান্ড আচ্ছা আচ্ছা আমাকে নিয়ে হেসে চলে যায়।
যে কাগজের টুকরোতে লিখেছিলাম নামটা সেই কাগজটা অনেক যত্ন করে রেখে দেই। আর ওই দিন থেকেই না ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দেই আমি।।
এই রকম ভাবে কয়েকটি বছর কেটে যায় , আর তখন আমি সেই বাচ্চা ছেলেটি নয়, তখন আমি কলেজের first year এর ছাত্র।
কলেজে প্রথম কাউকে চিনি না কাউকে জানিনা, ঠিক তখনই আমার বন্ধুত্ব হয় একটি ছেলের সঙ্গে, ছেলেটিকে দেখে কেমন সাধারণ লাগতো না, পাগল পাগল লাগতো আর ওর নাম ছিল "স্যামা প্রসাদ চৌধুরী " আস্তে আস্তে ওর সাথে বন্ধুত্ব টা গভীর হয়ে ওঠে আর ও একদিন কথায় কথায় বলে ওঠে যে ও নাকি গিটার বাজাতে জানে,
এই কথা শুনে আমার লাগছিল স্বপ্ন আমার অর্ধেক পুরো হয়ে গেছে,
তখন আমি ওকে বলি আরে ভাই এতোদিন তো এরকমই একজনের সন্ধানে ছিলাম আমি, একজন গিটারিস্টের খোঁজে ছিলাম , যা তোকে পেয়ে গেলাম। আমরা দুজন মিলে একটা ব্যান্ড বানাবো ব্যান্ডের নাম হবে "পেব্বলস" ।
তখন স্যামা প্রসাদ বলে :- ধীমান দেখ শুধু ২ জন দিয়ে ব্যান্ড হয় না।।
তাছাড়া তোমাদের বলতে ভুলে গেছি আমার নাম ধীমান , সেই ছোট্ট ছেলেটি আমি।।
যাইহোক আবার গল্পতে ঘুরে আসি ।।
যখন স্যামা আমাকে বললো যে ২জন দিয়ে ব্যান্ড হয় না, তখন আমি ওকে বললাম আরে ভাই সব হবে তুই তো আমার প্রথম সন্ধান।।
আরও অনেকের সন্ধান করে নেবো।।
এই বলে আমাদের কলেজ চলতে থাকলো, আর তার সাথে চলতে থাকলো আমার জেগে স্বপ্ন দেখা।।
তার কয়েকদিন যেতে না যেতেই আমার কাছে খবর আসে যে আমার পাড়ার এক বাড়িতে দু ভাই একজন গিটার শিখছে আর এক ভাই ড্রাম।
তা শুনে আমি শুধু ভাবতাম কখন ওদের মধ্যে থেকে যে কোনো একজন ভাইয়ের দেখা পাই, আর ব্যান্ডের কথা বলবো,
ওদের অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ একদিন দেখা হয় দু ভাইয়ের মধ্যে এক ভাইয়ের সাথে, সেই দুই ভাইয়ের মধ্যে ও ছিল ছোট ওর নাম ছিল "সুদিপ" আমার দ্বিতীয় সন্ধান ,
দেখা হতেই আমি ওকে ডাকি প্রথম কথাতেই আমি ওকে জিজ্ঞেস করি :- ভাই শুনলাম তুমি ড্রাম বাজাও,
উত্তরে সুদিপ :- আরে না না এসব কিছু না আমি মাত্র গিটার কিনেছি আর আমার দাদা ড্রাম, শেখার অনেক ইচ্ছে, কিন্তু কাউকে পাচ্ছি না।
এই কথা শুনে আমি ওকে বলি আরে তা তো ভালোই হলো দুজনকে পেয়ে গেলাম, আমরা একটা বাংলা রক ব্যান্ড বানাবো , আর ব্যান্ডের নাম হবে "পেব্বলস"।।
এই কথা শুনে সুদিপ ও অনেক খুশি হয় বললো হবে ভাই আমি আছি ।
তারপর আস্তে আস্তে আমি সুদিপের ঘরে যাই, তখন পর্যন্ত কিন্তু সুদিপ কোন গিটারের কর্ড ই ধরতে পারতোনা কিন্তু, তা দিয়েই আমরা গান করি গান ও বানাই ।
আস্তে আস্তে ওরা দুই ভাই গিটার, ড্রাম শিখলো আর আস্তে আস্তে আমার ব্যান্ডের স্বপ্নটা পুরো হতে থাকলো।
কিন্তু আমাদের মধ্যে এখনও আসছিল না আমি ওকে ফোন করতাম ও আসতো না, তো একদিন ওকে আমি কলেজে গিয়ে বলি কি আসিস না কেনো জ্যামিঙে,
তখন স্যামা বললো ভাই আমার ভয় লাগে আমি তো কিছুই বাজাতে পারিনা এখনো ওর এই কথা শুনে আমি ওকে বলি ভাই এখানে কেউই কিছু পারে না সবাই নুতুন সবাই এখনো শিখছে এইসব বলার পর স্যামা আসে,
তখন গিয়ে ব্যান্ডটি মোটামুটি সম্পুর্ন হয়,
তখন ভোকেল থাকি আমি ( ধীমান)
গিটারে :- স্যামা, সুদিপ
ড্রামে :- সুদিপের দাদা (সৌরভ)
এই দিয়ে শুরু হয় আমাদের রক যাত্রা ।।
এভাবে চলতে থাকে আমাদের ১/২ বছর, তখন আমি আর স্যামা কলেজের প্রায় সিনিয়র।।
কিন্তু তখন ও অভাব ছিল আমাদের ব্যান্ডের একজন বেইস গিটারিস্টের, অনেক খোঁজার পর স্যামার হাতে ধরা পড়ে কলেজের সদ্য আসা এক প্রথম বর্ষের ছাত্র শুভো ভালো নাম অভিষেক।
তারপর স্যামা ওকে নিয়ে আসে আমাদের এখানে, তারপর আস্তে আস্তে অভিষেক ও আমাদের সাথে মিলে যায়।
এই ভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর সুদিপের দাদা ওর আর ড্রাম বাজাতে ভালো লাগলো না বলে ড্রাম ছেড়ে গানে চলে আসে, আর ড্রামে চলে আসে আমার এক বন্ধু সুরজ, আর গানের জন্য আরও একজন কে নিয়ে আসে স্যামা ওর নাম ছিল সুমিত।।
ব্যান্ড কিভাবে আগে যায় সেটা ভেবে সব কিছুই মেনে নিয়েছিলাম তখন আমি, তা ছাড়া ব্যান্ডের জন্য লেখার কাজ তখন আমি করতাম, আমাকে নিয়ে তিন জন ভোকেল হয়ে যাওয়ায়, আমি আস্তে আস্তে ভোকেল থেকে সরে যাই।
কিন্তু ব্যান্ডের জন্য গান লিখা সেটা আমারই কাজ থাকে তারপর গানের শুর থেকে গান বানানোর কাজে আমি সুদিপ আর স্যামা ই থাকতাম।।
সব কিছু ঠিক ভাবে চলছিল , তার পর হঠাৎ স্যামার ঘর থেকে স্যামাকে বাইরে পরাশুনার জন্য পাঠানো হয়, তখন কি করবো বোঝার আগেই , সুদিপ সুদিপের দাদা সৌরভ ওরা জয়েন করে ফেলে একটি অর্কেস্ট্রা গ্রুপ, সেই অর্কেস্ট্রা গ্রুপটি ছিল পরে আসা ড্রামার সুরজের ছেড়ে আসা।।
তা শুনে আমি অনেক কষ্ট পাই, যে ব্যান্ডের জন্য এতো কিছু করলাম ওরা সব এক নিমিষে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। ।
আমি ভেবেছিলাম হয়তো সবকিছুই শেষ তাই আমি নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে নিউজ রিপোর্টারের কাজে লেগে যাই।
কিছু দিন যাওয়ার পর স্যামা কোন এক কারণে শহরে ফিরে আসে তা শুনে আমি অনেক খুশি হই, তখন ভাবতে থাকলাম হয়তো আবার কিছু একটা হতে পারে।
এই ভেবে স্যামা আমি আর আমাদের দুজনেরই বন্ধু প্রোমিতকে নিয়ে আবার একটা ব্যান্ডে বানাই একজন ড্রামার ও খোঁজে পাই সন্দিপন নামে। আর তখন ব্যান্ডটির নাম হয় "দি ট্রাবলমেইকার"
রক মিউজিক করতাম কিন্তু পেব্বলসের মতো সেটা হচ্ছিল না।
নতুন ব্যান্ড বানিয়েছি শুনে তখন সুদিপ আমাকে ফোন করে আর বলে কিরে নতুন ব্যান্ড বানিয়েছিস শুনলাম।
ওর উত্তরে আমি হ্যা রে জাষ্ট রক মিউজিক করার জন্য, নিজেকে তো রক থেকে দূরে রাখতে পারিনা, আর তুইও আসিস একদিন মজা হবে।
কয়েকদিন পর সুদিপ আসলো, যেখানে আমরা দি ট্রাবলমেইকারের জ্যাম করতাম, ও আসার পর আমি ওকে বলি ব্যান্ড ছেড়ে চলে গেলি অর্কেস্ট্রা গ্রুপে, রক টক ছেড়ে কি করছিস এসব স্যামা ও ফিরে এলো চল আবার শুরু করি পেব্বলসটা ।
এসব বলে সবাই কে রাজি করে আবার শুরু করি পেব্বলস।।
তখন ব্যান্ডে ছিল
গিটারে :- স্যামা, সুদিপ
বেইস গিটারে :- অভিষেক ( শুভো)
ড্রামে :- সুরজ
আর ভোকেলে :- সুদিপের দাদা (সৌরভ) আর সুমিত।
আর জাষ্ট লিখতাম গান বানাতাম।।
আমি নিউজ রিপোর্টারের কাজে লেগেগিয়েছিলাম বলে ঠিক সময়টা দিতে পারতাম না, আমি বলেছিলাম সবাইকে তোরা তোদের কাজ কর।
আমারা এখন পর্যন্ত একটা লাইভ কনসার্ট করিনি, কারণ আমাদের কে কেউ জানে না, তখন আমি সবাইকে বলি দেখ আমারা সবাই নতুন কেউ আমাদের জানে, আমাদের জানাতে হবে পেব্বলস কি,
আমাদের কনসার্ট আমাদের নিজেদের করতে হবে, এন্ট্রি ফ্রি করতে হবে তারপর সবাই জানবে আমাদের।
তারপর ব্যান্ডের সবাই কষ্ট করে আমাদের কনসার্ট টা করি কনসার্টের নাম হয় পেব্বলস নাইট , আর এই কনসার্টে পুরো শহরের মন ছুয়ে যায় আর আস্তে আস্তে সবাই আমাদের কে চেনে জানে, আর পেব্বলসের নামটা বাইরে পৌঁছতে থাকে।
তারপর একটার পর একটা কনসার্ট করতে থাকি আমরা।।
ইউনিভার্সিটি থেকে সব জায়গায় আমাদের নাম পৌঁছাতে থাকে।
তার কিছু দিন পর আমি আমার ব্যান্ডের সকল সদস্যদের কাছে একটি প্রস্তাব নিয়ে যাই, প্রস্তাবটি ছিল যে আমাদের নিজেদের কম্পোজিশন রিলিজ করা, এই কথা শুনে সবাই ঠিক রাজি হচ্ছিল না, সবাই বলতে থাকে আমারা পারবোনা আমরা নতুন এসছি মাত্র।
আমি ওদেরকে কোনো রকম ভাবে বুঝিয়ে রাজি করলাম, আর গানের কাজে লেগে যাই।
গানের কাজ পুরো হবার পর সময় আসে রেকর্ডিংয়ের, আমাদের শহরে রেকর্ডিংয়ের ভালো জায়গা না থাকায়, আমাদের সবার যেতে হয়েছিল শহরের বাইরে, শহরের বাইরে গিয়ে আমরা এতোটাই মজা করতে লেগে গিয়ে ছিলাম যে আমাদের সাথে থাকা সব টাকাই প্রায় খরচ করে ফেলেছিলাম, খাবারের জন্য ও টাকা ছিলনা, রাতে মোমো খেয়ে কাটাতে হয়েছিল আমাদের।।
যাইহোক তারপর আমাদের রেকর্ডিংয়ের কাজ পুরো হয়, আর আমারা আমাদের ব্যান্ডের প্রথম ২টো গান রিলিজ করি।
যেমন ভেবেছিলাম ঠিক তেমন হয়নি আর আমাদের প্রথম কম্পোজিশন ফ্লপ হয়ে যায়।।
তার কিছু দিন পর দূর্গা পুজোর সময় আসে পুজো নিয়ে আর একটি গান রিলিজ করি, সেটাও ফ্লপ হয়।
আমরা সবাই বুঝতে পারি আমাদের ফ্লপ হওয়ার কারণটা কি ভোকেলর উচ্চারণ, আর শুর ঠিক না থাকায় । ।
এই ভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর আমরা বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম ঠিক তখন সুরজ আমাকে বলে, ধীমান একটা যুদ্ধ নিয়ে কিছু লেখ ,
ওর কথায় আমি একটা আমি একটি গান লিখি গানটির নাম দেই "বিশ্বযুদ্ধ* গানটা বানানোর পর কে গাইবে তা নিয়ে কথা ওঠে তখন সুদিপ কে আমি বলি দেখ ভাই গানটা আগের গান গুলোর মত নষ্ট করতে দেবো না, তাই গানটা আমি গাইবো, তখন সুদিপ ও বলে হ্যা সেটাই ভালো তুই কর।।
গানটা আমি গাইবো বলে অনেকেরই আপত্তি হয় ব্যান্ডের মধ্যে, এমনকি যে বলেছিল ওরই আপত্তিটা বেশি থাকে, অনেক কথা ওঠে,
শুধু সুদিপ আমার পক্ষে ছিল।
তারপয রেকর্ডিং এর সময় আসে রেকর্ডিং ও ভালো করেই হয়,
আর রিলিজ হওয়ার পর দেখা গেল মানুষের রেসপন্স ভালোই আসছে, সব গান গুলোর মধ্যে এই গানটিই ছিল সবচেয়ে ভালো আর সবের পছন্দ ( বিশ্বযুদ্ধ গানের লিংক https://youtu.be/6INyXbB0Rvw )
গানটার পরে আরো ভালো ডাক আসতে থাকে এক শহর থেকে অন্য শহরে আমরা যেতে থাকি , অনেকর ডাক আসতে থাকে আমাদের।
এভাবে অনেক ভালো ভাবেই আমাদের ব্যান্ড চলতে থাকলো ,
তারপর স্যামা, সুরজের ব্যান্ডের সবার সাথেই একটা ভুল বুঝা বুঝি হয়, (কয়েক বছর পর জানতে পারি স্যামার মনের ভুল বুঝাবুঝিটা অন্য কেউ ঢুকিয়ে ছিল সব কথা পরে জানতে পারি ওর থেকে) স্যামা তখন আমকেও কিছুটা ভুল বুঝে ছিল।।
এই ভুল বুঝাবুঝির কারণে স্যামা, সুরজ ব্যান্ড ছেড়ে চলে পুরোপুরি ভাবে।
আর এভাবেই আমার স্বপ্ন পেব্বলসের প্রথম সন্ধানটা এখানেই মুছে যায় অনেক কষ্ট হয়েছিল আমার ওই সময়।
তার কিছু দিন পর অভিষেক ও বাইরে পরতে চলে যায়।।
এই ভাবে ব্যান্ড থেকে ৩ জন মানুষ চলে যায়।
কিছু দিন এভাবে চলার পর আরও ৩ জন নতুন সদস্য যোগ হয় বেইজ গিটারে রনিত দা, গিটারে মৌসাম, আর ড্রামে চিরঞ্জীব।
আবার ঠিক ভাবে চলতে থাকে আমাদের ব্যান্ড, একের পর এক কনসার্ট করতে থাকি আমরা পেব্বলসের একটা আলাদা পরিচয় হয়ে গিয়েছিল তখন।
আমি ব্যান্ডে শুধু লিখার কাজেই ছিলাম তখন।
তার কিছু দিন পর দেখলাম ব্যান্ড যতো উপরে উঠতে থাকে, আমার অধিকারটা ঠিক ততটাই কমতে থাকে।
না কেউ তখন কোন কাজে আমাকে ডাকতো না, কোনো কাজ হলে আমাকে বলতো।
কারণ ব্যন্ডে আমি তেমন কিছু করতাম না কিন্তু শহর, শহরের বাইরে সবাই আমাকে চেনতো জানতো আমার কাজ আর লেখার জন্য হয়তো সেটা নিয়ে ব্যন্ডের কিছু মানুষ আমকে এতটা ভালোবাসতো না।
তারপর
একদিন রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম আমি আমার কাজে ঠিক তখন একটি ছেলে আমাকে ডেকে বলে কি দাদা ভালো আছো, শুনলাম তোমাদের নতুন গান আসছে,
আমি একটু অবাক হয়ে বললাম কি আমাদের গান?
ছেলেটি বললো তুমি জানো না ?
তখন আমি ছেলেটি কে কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না ।
তখন আমি ভাবলাম হয়তো আমার স্বপ্নটা কে আমার পেব্বলসটকে আরও বড় দেখতে হলে আমার পেব্বলস থেকে সরে যাওয়াটাই দরকার।।
এই ভাবে আমার ছোট্ট বেলার পেব্বলস থেকে আমিও মুছে যাই।।
- ধীমান কুড়ি
Comments
Post a Comment